কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পারভেজ মুন্সী (১২) নামে এক কিশোরকে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলিয়ে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরের বাবা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পারভেজ উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের সাফলীডাঙ্গা গ্রামের চা বিক্রেতা জসীম মুন্সীর ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর একই গ্রামের চাঁন সরদার ও তার সহযোগী তাহের শেখ কিশোর পারভেজকে বেড়ানোর কথা বলে যশোরের উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে উপজেলার কালনা ফেরিঘাটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই কিশোরকে মোটর সাইকেলে যশোরে নিয়ে সারাদিন একটি ইজিবাইকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরায়। সন্ধ্যা হলে যশোরের একটি গ্রামে চাঁন সরদারের শালার বাড়িতে পারভেজকে নিয়ে রাখে। পরের দিন সকালে তাকে শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কালো গ্লাসযুক্ত একটি মাইক্রোবাসে দু’টি লোক এসে পারভেজকে সে গাড়ীতে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু লোকজন চলে আসলে তাকে গাড়িতে তুলতে পারেনি।
এদিকে, পারভেজকে যশোরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবারের লোকেরা জানতে পেরে চাঁন সরদারের বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে পরের দিন দুপুরে পারভেজকে এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়।
ওই কিশোরের বাবা জসীম মুন্সী বলেন, ‘আমার ছেলে পারভেজকে সাফলীডাঙ্গা গ্রামের চাঁন সরদার ও সহযোগী তাহের শেখ পাচারের উদ্দেশ্যে বেড়ানোর কথা বলে ফুসলিয়ে যশোরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমরা লোক মারফতে জানতে পেরে চাঁন সরদারের বাড়িতে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে দেয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করবো।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চাঁন সরদার পারভেজ মুন্সীকে পাচারের চেষ্টার কথা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে তাহের শেখের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসা অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সে একাধিকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে এবং জেল হাজতও খেটেছে।
কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খন্দকার আমিনুর রহমান অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বাদী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করবেন বলে পরবর্তীতে সমঝোতায় বসতে রাজি হননি।’